Wednesday, 24 September 2008

আমার ইতিহাসের শিক্ষক

  মনে পড়ছে আমার ইতিহাসের শিক্ষক মনীন্দ্রনাথ মাইতির কথা। এতো সুন্দর করে তিনি পড়াতেন মনে হতো প্রতিদিন আকর্ষনীয় কোনো গল্প বলছেন। বাড়ি ফিরে নোট বানানোর সময় বই থেকে কিছু খুজতে হতো না। ছবির মতো সব মনে ভেসে উঠতো, সহজেই লিখে ফেলতাম।

  ওনার ক্লাসে আসার সময় আমরা দরজার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। কখন উনি আসেন - ,উনি এসে সবার থেকে জানতে চাইতেন আগের দিনের পড়ার কে কোথয় বুঝতে পারনি? তার পর নতুন গল্প শুরু করতেন। সবাই শান্ত ভাবে বসে মগ্ন হয়ে ওনাকে শুনতাম। পরের ক্লাসের শিক্ষক যখন দরজার সামনে এসে দাড়াত তখন সবার ঘোর ভাঙত। তখন তিনি তার পাঠ শেষ করতেন, মাঝে মাঝে কোন বিষয় যদি একটু বড় হয় অন্য শিক্ষককে বলে দু-তিনটা ক্লাস একসংগে নিয়ে নিতেন। সেই সময়টাতে সকলের মাঝে এক স্বপ্নিল আবেশ বিরাজ করত।

  কিন্তু আমার ইংরেজীর শিক্ষক ছিলেন অন্যরকম, তিনি যখন ক্লাসে ঢুকতেন হাতে তার থাকতো একটা ছড়িআর একটা বই। ঢুকেই সবাইকে জিগ্গেস করত কালকে যে পড়া দিয়ে ছিলাম সবার হয়েছে? বুঝতে পার না পার ওনার পড়া মুখস্ত বলতে হবে।না পারলে কাকঁদতে হবে কিংবা পুরোটা সময় ওনার ক্লাসে দাড়িয়ে থাকতে হতো। তাই কোনো দিন ওনার ক্লাসে প্রথম বেঞ্চে বসতাম না পেছনে বসে অন্যদের সাথে গল্প করতাম।উনি শুধু বই দেখে পড়ে যেতেন। ঐ বিষয়ের প্রতি অনুরাগ জন্মায় নি। কোনো দিন নিজের থেকে পড়তে ইছে করত না বিষয়টি শুধু পরীক্ষার সময় জোর করে সবার বকুনি খেয়ে পড়ে পরীক্ষায় লিখতাম। পরে সব ভুলে যেতাম।

বীথি বেরা।
প্রাক্তন ছাত্রী, রাঙাবেলিয়া হাইষ্কুল।

2 comments:

Anonymous said...

বীথি, তোমার এ লেখা আমার খুব ভালো লাগলো। আশা করি খুব তারাতারি আর একটা লেখা পড়ব ;-)
অনু

Anonymous said...

ki bhalo laglo Bithi, chotobelar koto golpo mone eshegechhe ei pore.
Shabi